আমার বয়স যখন সতেরো—সন্ধ্যার নরম কাঁদামাটিতে ঘোড়ার মতো দ্রুতবেগে জঙ্গলের পাশ দিয়ে ছুটে যেত আমার ফনিক্স সাইকেল। স্বৈরাচারী শাসকের মতো মাড়িয়ে যেতাম বালি, পাথর আর কড়ই গাছের পাতাগুলোকে। দুপাশে বিশাল গাছগুলো সন্ধ্যার অন্ধকারকে টেনে নামিয়ে আনতো একদম মাটিতে। ক্ষুধার্ত শিশুর মতো ব্যাঙগুলো ডেকেই যেত। পুরো জঙ্গল জুড়েই সংসার পেতে রেখেছিল পোকামাকড়ের দল। সন্ধ্যার সুনসান-নিস্তব্ধ জঙ্গলটার পাশ দিয়ে যাবার সময় মনে হতো, এই বুঝি কেউ টেনে নিয়ে গেল! আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘাড়ের রগ শক্ত করে সাইকেল নিয়ে দিতাম এক টা…ন!
ছোটবেলার কথা ভাবলে খুব হাসি পায় এখন। কী বোকাটাই না ছিলাম! এখন অবশ্য জঙ্গলটা এত ভয় লাগে না আমার। লাগবে কী করে? সাতান্ন বছর হলো। এক মাগরিবের ওয়াক্তে আমাকে এখানে পুঁতে দিয়েছে আমার নিজের লোকেরাই।