বিদঘুটে রাতে জোনাকির ডাকে

হঠাৎ ভেঙেছে ঘুম।

ঝিমঝিম মাথায়, চোখ তুলে তাকাই,

দেখি, এ কী? কোথায়? চার দেয়ালের কোণায়,

মনে পড়ে সন্ধ্যাকালীন যোজনা।

ওযুটা সেরে, টুপিটা পরে মসজিদর পথে যখন,

বলা নেই, কওয়া নেই, মুখ চেপে তুলল গাড়িতে,

করল কি তাহলে গুম?

শরীরটা ব্যথা

মনে পড়ে না কোনো কথা ,

কপালটা হয়েছে বোল্লার চাক।

ঠক ঠক আওয়াজ ভাসে,

কে যেন আসে

হাতে টর্চ, পায়ে বুট।

হঠাৎ দেখি ডাকে, “মৌলবি সাহেব, এদিক আসেন, নামাবো মষ্কিকের ভূত।”

“এ কী দারোগা সাহেব?

ধরেছেন আমারে? কি ছিল মোর ভুল?”

“কত শত জ্ঞান বিলাইয়া নিজেরে বিজ্ঞ ভাবিস,

তোদের জ্বালায়, রাস্তায় না চলা যায়,

যখন তখন আন্দোলনে নামিস!

ধরব তোদের, মারব তোদের, রাখব আয়নাঘরে,

শেষ মুহূর্তটা কাটাবি তোরা ধুঁকে ধুঁকে এখানেই।