১/ প্রকৃত নারীরা নারীদের চিরায়ত বৈশিষ্ট্যগুলো[1] নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগে না। মনেপ্রাণে পুরুষের মতো হতে চায় না। পুরুষ যা করে তা করতে পারাকেই নারীর ক্ষমতায়ন মনে করে না। আবহমান প্রকৃত নারী হয় লাজুক, নারীসুলভ কমনীয়, নম্র, ভদ্র। বাসার বাইরে হৈচৈ করে না, নিজের নারীত্ব নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগে না।
২/ প্রকৃত নারীরা পোশাক-আশাকের ক্ষেত্রে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ﷺ-এর কথা মেনে চলে। সমাজ, মিডিয়া, সংস্কৃতি, পাশ্চাত্যকে অনুসরণ করে শরীর দেখায় না। নিজেকে উন্মুক্ত করাকে সাহসিকতা মনে করে না। জাতে ওঠার মাধ্যম মনে করে না।
৩/ প্রকৃত নারীরা ছেলেদের সাথে মেশে না, ছেলেরাও তার ব্যক্তিত্বের কারণে তার সাথে মেশার সাহস করে না, প্রেম করে না। ছেলেদের সাথে হৈ-হুল্লোড় করে বেড়ানো, ট্যুর দেওয়া, ছেলেদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরানো, ছেলেদের নাচানোকে স্মার্টনেস মনে করে না।
৪/ প্রকৃত নারীরা সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের ছবি আর ভিডিও আপলোড করে না। ফ্যান-ফলোয়ার, মানুষের মনোযোগ, প্রশংসা চায় না। অন্য কেউ দূরে থাক, স্বামী চাইলেও ব্যক্তিগত ছবি তুলতে দেয় না।
৫/ প্রকৃত নারীরা রান্নাবান্না, শিশু লালনপালন, ঘরের কাজকে জীবনের অপচয় মনে করে না। তারা সমাজ ও পরিবারে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন। ঘরের কাজ করাকে জীবনের অপচয় মনে করে না, দাসত্ব মনে করে না। বিশ্বব্যবস্থা, মিডিয়া আর সমাজের তৈরি সাফল্যের সংজ্ঞা মেনে তার পেছনে অন্ধের মতো ছুটে না।
[1] লস্টমডেস্টির ‘আকাশের ওপারে আকাশ’ বইয়ের “আসল পুরুষ আসল নারী” প্রবন্ধের আদলে।
[ষোলো ৮ম সংখ্যায় (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০২৫) প্রকাশিত]