মাথায় কাপড়, পাগড়ি, আমামাহ ইত্যাদি বাঁধা রাসূলুল্লাহর (ﷺ) একটি প্রসিদ্ধ সুন্নাহ। সেই সাথে জুব্বার সঙ্গে পাগড়ি তোমার পরিচ্ছদে এনে দেবে গাম্ভীর্য ও পৌরুষত্বের ছাপ। তবে পাগড়ি বাঁধাটা একটি শিল্প। সুন্দর করে পাগড়ি বাঁধা আয়ত্তে আনতে হলে চাই অনেক দিনের অভিজ্ঞতা। তোমাদের পাগড়ি বাঁধা শেখার কষ্ট একটু লাঘব করতে নিয়ে এলাম পাগড়ি বাঁধার টিউটোরিয়াল। আজ আমরা যে ধরনের পাগড়ি বাঁধা শিখব সেটা ‘কেফিয়েহ’ নামে বেশি পরিচিত। এগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিনি কেফিয়েহ সবচেয়ে বিখ্যাত। নিচে ধাপে ধাপে সহজে কেফিয়েহ বাঁধার পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:
১. ভাঁজ করো: চারকোণা কেফিয়েহর যেকোনো এক কোণা ধরে তার বিপরীত কোণার সাথে মিলিয়ে একটা ত্রিভুজ তৈরি করো। সেই ত্রিভুজের শীর্ষটা ধরে অর্ধেকের বেশি নিয়ে আবার ভাঁজ করো।
২. মাথায় রাখো ও দুই দিক মোড়াও: ভাঁজ করা পিঠটা মাথার ওপরে রাখো এবং ত্রিভুজের শীর্ষটা মাথার পিছনের দিকে রাখো। কাপড়টা যেন কপাল ঢাকে সে অবস্থা পর্যন্ত নামাও। এরপর সামনে দু’দিকে ঝুলে থাকা প্রান্ত দু’টো কানের কাছের দিকে ধরে বাইরের দিকে দুই পাক মোড়াও।
৩. পেছনে ক্রস করো: এরপর ঝুলন্ত দুই প্রান্ত কাঁধের ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে মাথার পেছনে নিয়ে একটার ওপর দিয়ে অপরটা ক্রস করো ও হালকা টান দাও, যাতে সেগুলো শক্তভাবে বসে যায়। এরপর প্রান্তগুলো সামনের দিকে নিয়ে এসো এবং কাঁধের ওপর থেকে ঝুলিয়ে দাও।
৪. এক পাশ ঘুরিয়ে নিয়ে এসো: ঝুলে থাকা যেকোনো এক প্রান্ত ধরে কপালের ওপর দিয়ে মাথার পেছনে নিয়ে এসো এবং পেছনে থাকা ভাজের মধ্যে গুঁজে দাও।
৫. অন্য পাশ ঘুরিয়ে নিয়ে এসো: একইভাবে দ্বিতীয় প্রান্ত ঘুরিয়ে এনে পেছনে নিয়ে গুঁজে দাও। খেয়াল রাখবে সামনের দিকে কাপড়ের ভাঁজ ও স্তরগুলো যেন সুন্দর ও পরিপাটি হয়, বেশি চওড়া বা সরু যেন হয়ে না যায়।
৬. চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ: পাগড়ি বাঁধার পুরোটা সময় আয়নায় দেখে দেখে ভাঁজগুলো ঠিক করে মাথায় আরামদায়কভাবে ফিট করে নাও। বাঁধা শেষ হওয়ার পর দেখে পছন্দ না হলে খুলে আবার চেষ্টা করো।
আশা করি এবার ঈদে সহজেই পাগড়ি (কেফিয়েহ) বাঁধতে পারবে। কী, পারবে না?
[ষোলো ঈদ সংখ্যা ২০২৫ এ প্রকাশিত]