রমাদান মানেই অফুরন্ত রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের সুবর্ণ সুযোগ! আর শেষ দশ দিন ও রাত যেন আসে আরও স্পেশাল অফার নিয়ে! রমাদানের শেষ রাতগুলোর যেকোনো এক রাত-ই হবে লাইলাতুল কদর – যা এক হাজার মাস বা ৮৩ বছরের চেয়েও বরকতময়! আসো, আমরা সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দারুণ কিছু আমল করি, যাতে ৮৩ বছরের সওয়াব এক রাতেই পেয়ে যাই, বিইযনিল্লাহ!
১। কুরআন তিলাওয়াত – প্রতিদিন অন্ততঃ কিছু আয়াত পড়ো। যদি লাইলাতুল কদরে পড়ে, তাহলে যেন ৮৩ বছর প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াতের সওয়াব পেয়ে গেলে!
২। বেশি বেশি দুআ ও যিকির - আল্লাহকে খুব স্মরণ করো, নিজের অতীতের সকল গুনাহের জন্য কান্নাকাটি করে ক্ষমা চাও। এই দুআটা বেশি বেশি পড়ো:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতেই ভালোবাসো। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।
৩। সালাত - জামাআতে সালাত আদায় করবে। পাশাপাশি শেষ রাতে অন্ততঃ ২ রাকাত করে করে তাহাজ্জুদ পড়ো। ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন! মনে যা কল্পনা করছি তাও শুনছেন!’- এই খেয়াল এনে ধীরস্থিরভাবে সালাত আদায় করো।
৪। সামর্থ্য অনুযায়ী সাদাকাহ - প্রতিদিন ৫/১০/১০০/১০০০ কিছু-না-কিছু টাকা সাদাকাহ করো। কিপটামি কোরো না, আবার সাধ্যের বাইরেও যেয়ো না, যাতে পরে আবার ধার করে মাস চলা লাগে!
৫। ইতিকাফ - যদি সম্ভব হয়, ইতিকাফ করো। দুনিয়ার ব্যস্ততা, ফিতনা থেকে দূরে থেকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করার এক অনন্য সুযোগ পাওয়া যায় ইতিকাফে।
শয়তান শিকলবদ্ধ। ‘পরিস্থিতি’ অনেকটাই অনুকূলে। এখন সিদ্ধান্ত তোমার। বরকতের রাতগুলো কাজে লাগাবে, নাকি হাতছাড়া করবে।
প্রিয় নবিজি (ﷺ) এর হাদীস- ‘‘যখন রমাদান মাসের প্রথম রাত্রি আসে, শয়তান ও অবাধ্য জিন সকলকে শৃংখলে আবদ্ধ করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়, অতঃপর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খোলা হয়, অতঃপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না। এ মাসে এক আহ্বানকারী (ফেরেশতা) আহ্বান করতে থাকে, হে ভালোর অন্বেষণকারী- অগ্রসর হও, হে মন্দের অন্বেষণকারী- থামো। আল্লাহ তাআলা এই মাসে বহু ব্যক্তিকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেন, আর তা প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে।’’
(মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং: ১৯৬০)