১৬ জুলাই সারাদেশে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদসহ ৬ জন নিহত হলে ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত “কমপ্লিট শাটডাউন”-এর মাধ্যমে যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। সেদিন গুলির মুখে জীবন বাজি রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ব্লকেড দেয় মাদরাসা ছাত্রদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, দিনমজুর, দোকানদারসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। সেদিন বিকালে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কাজলার টোল প্লাজা। ১৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারির পরও যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকায় টানা পাঁচ দিন ধরে সরকারি বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।[১]
শুরু থেকেই যাত্রাবাড়ীর আন্দোলনের মূল প্রাণ ছিল মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র-শিক্ষক ও আলেমগণ। যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় ৬৮টি মাদরাসা আছে। প্রায় সকল মাদরাসা থেকেই ছাত্র-শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে যোগ দেয় এবং সবচেয়ে সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসা) ছিল আন্দোলনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। ১৮ জুলাই এখান থেকে সর্বপ্রথম আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ফতোয়া দেওয়া হয়। এছাড়াও সায়দাবাদের বাইতুন নূর, গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদ মাদরাসা, কুতুবখালী ও মাদানীনগর মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ছিল আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধা।[২]
১৮-২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থেকে কাজলা টোল প্লাজা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তন্মধ্যে ১৯ জুলাই জুমুআর পরে বেশিরভাগ মসজিদ-মাদরাসা থেকে সাধারণ মুসল্লিরা আন্দোলনের উদ্দেশ্যে জড়ো হবার আগেই পুলিশ অতর্কিত আক্রমণ করে। সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। হতাহত হয় অনেকে৷[৩]
এ সময়ে যে সকল মাদরাসা ছাত্র শহীদ হয়, তন্মধ্যে ১৩ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ অন্যতম। ১৮ জুলাই মাদরাসা থেকে যুহর পড়ে আন্দোলনে যোগ দেবার জন্য যাত্রাবাড়ী চলে যায় সে। যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে পরিচিত কিছু বন্ধুর সাথে একদম প্রথম সারিতে থেকেই কুতুবখালীর দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সে। বিপরীতে থাকা পুলিশকে সবাই ইট-পাটকেল মারছিল। পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, গুলি ছুড়ছিল। এক পর্যায়ে পায়ে গুলি লাগে আব্দুল্লাহর। তবুও সে পিছু হটেনি। সবাই তাকে চলে যেতে বললেও সে আরও উদ্দীপনা ও আগ্রহের সাথে এগিয়ে যাচ্ছিল মিছিলের সামনের দিকে। এক পর্যায়ে তার হাত, কোমড় ও বুকে ৫-৬টি গুলি এসে ঝাঁঝরা করে দেয়। বাম হাত থেকে খসে পড়ে যায় সমস্ত মাংস, বাইরে থেকে হাতের হাড় দেখা যাচ্ছিল। ছাত্ররা দ্রুত পাশের অনাবিল হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে৷ পরে ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেন্সিতে নিলে এক পর্যায়ে শহীদ হয় আব্দুল্লাহ।[৪]
১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে আরও শহীদ হন চাঁদপুরের জামিয়া কুরআনিয়া ইমদাদিয়া দারুল উলুম ফুলছোয়া মাদরাসার হাফেজ সাজ্জাদ হোসেন সাব্বির। ২০ জুলাই শনির আখড়ায় আন্দোলনের সময় বুকে ও পিঠে দু’বার গুলিবিদ্ধ হন লক্ষ্মীপুরের দক্ষিন মাগুরী ইবতেদায়ী মাদরাসার ছাত্র ইউনুস আলী শাওন।
২৪ তারিখ থেকে ইন্টারনেট ফিরে এলে আন্দোলন আরও সংগঠিত হয়। এরমধ্যে কিছু গ্রুপ যৌথ বাহিনীর তৎপরতাকে পর্যবেক্ষণে রাখে, কিছু গ্রুপ কাজ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ প্রতিহত করতে, কেউ আবার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশেপাশের এলাকার আন্দোলনকারীদের ঢাকায় প্রবেশের ব্যবস্থা করে। এভাবে ত্রিমুখী কৌশলে যৌথ বাহিনীর কয়েক স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে দেয় তারা।[৫] এভাবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী দখলে রেখে আন্দোলনকে সফলতার দিকে নিয়ে যায় মাদরাসার ছাত্ররা। এ সময় শহীদ হন হাফেজ মাওলানা মঈনুল ইসলাম। তিনি মুগদা দারুল উলুম মাদরাসা থেকে পড়াশুনা করেছেন। তিনি ২৬ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হন এবং ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই শাহাদাতবরণ করেন।
জুলাই পেরিয়ে আন্দোলন যখন আগস্টে প্রবেশ করে, লাশের সারি ইতোমধ্যেই অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে৷ এখন আন্দোলনকে থামানোর কিংবা খুনি সরকারের সাথে সংলাপে বসার আর কোনো সুযোগ নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এখন এই আওয়ামী জাহিলিয়াতের পতন চায়। চারদিকে তখন মিছিল আর রক্তের উত্তাল স্রোত বয়ে চলছে, প্রতিধ্বনিত হচ্ছে “এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি?”। বিগত সময়গুলোর মতো যেন এবারও আলেম সমাজ ও মাদরাসা ছাত্রদের অবদানকে মুছে না ফেলা হয় সেজন্য “সাধারণ আলেম সমাজ” ব্যানারে ৩রা আগস্ট ঢাকার দনিয়া কলেজের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হয় “আমারও কিছু বলার আছে” শিরোনামে। এতে যুক্ত হন অনেক মাদরাসা ছাত্র, আলেম, লেখক ও গবেষক। এখান থেকে এই জুলুম ও নৈরাজ্য বন্ধ করা এবং বিচার হবার আগ অবধি আন্দোলনে আলেম ও মাদরাসা সমাজের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিরোধ চলমান থাকে যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে শনির আখড়া ও কাঁচপুর ব্রীজ পর্যন্ত। ৪ তারিখ ঘোষণা হয় পরেরদিন “লং মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচি। সারাদেশ থেকে জনতা যেন ঢাকায় চলে আসে এবং গণভবন দখল করে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করে, সেজন্য আহ্বান জানানো হয় সকলকে।
৫ তারিখে ঢাকার যাত্রাবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ ও এর আশেপাশের সকল মাদরাসার ছাত্ররা আল্লাহর উপর ভরসা করে এক মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়।[৬] কোনোভাবেই যাত্রাবাড়ীর দখল পুলিশ বা প্রশাসনিক কোনো বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। সেজন্য যত রক্ত লাগে, দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সেদিন তাদের চোখেমুখে ছিল উদ্দীপ্ত তেজ, হৃদয়ে ছিল শাহাদাতের তামান্না, স্বপ্নে ছিল স্বৈরাচারের পতনের অন্তিম মুহূর্তের বিজয়োল্লাস।
সেদিন দুপুর ১ টার আগ থেকেই যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা ছাত্রদের সাথে জড়ো হতে থাকে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। পুলিশও দুপুর থেকেই মরণঘাতী অস্ত্র দিয়ে গুলি করা শুরু করে৷ দুপুর ২টার দিকে গোলাগুলি কিছুটা কমলে জনস্রোত এসে পৌঁছায় যাত্রাবাড়ী পুলিশ স্টেশনের মূল ফটকে। সেনাবাহিনী এসে জনগণকে শান্ত হবার জন্য বলে। অল্প কিছুক্ষণ পর বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে স্টেশনের ভেতর থেকে স্টান্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে পুলিশ। জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পুলিশ সামনে এগোতে এগোতে আবারও গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
এর ৭ মিনিট পর থানা থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসে দু’জন পুলিশ। সামনের সাদা টুপি পরা এক মাদরাসা ছাত্রকে শটগানের গুলি এসে আঘাত করলে সাথে সাথে তিনি পড়ে যান। হামাগুড়ি দিয়ে ফ্লাইওভারের অপর পাশে আসে। থানার বামপাশে দু’জন ব্যক্তিকে গুলি খেয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হঠাৎ গুলি লেগে একজনের পায়ের পাতা সম্পূর্ণ উড়ে যায়।
৩ টা বাজতে তখনো ১২ মিনিট বাকি। ইতোমধ্যে সরকার পতনের উল্লাসে ফেটে পড়েছে গোটা জাতি। কিন্তু যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশেরা তখনো সাধারণ জনগণের উপর অনবরত ছাদের উপর থেকে, গেটের সামনে থেকে গুলি ছুড়তে থাকে। ফ্লাইওভারের নিচে আশ্রয় নেওয়া দু’জন মাদরাসা ছাত্রকে একদম কাছ থেকে গুলি করে ৩/৪ জন পুলিশ। লাল শার্ট পরিহিত একজন মাদরাসা ছাত্র গুলি থেকে বাঁচতে হাত জোড় করে মিনতি করে৷ তারপরেও অনবরত গুলি করে পুলিশ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে সে।
কিছুক্ষণ পর এই মাদরাসা ছাত্রদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় পাশের গলিতে। ছড়িয়ে থাকে প্রাণভয়ে পালানো শত মানুষের জুতা, ব্যর্থ প্রতিরোধ গড়ার জন্য নিয়ে আসা লাঠি।[৭]
তিনটা বাজতে আরও ৯ মিনিট বাকি। এমন সময় সাদা জুব্বা ও মাথায় কালো টুপি পরা ২৪ বছর বয়সী খুবাইব নামের এক মাদরাসা ছাত্রকে ৯ জন পুলিশ সদস্য গেইটের সামনে টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে নিয়ে যায়৷ এক পর্যায়ে খুবাইব ছুটে দৌড় দেয়। কয়েকজন পুলিশ সূক্ষ্ম নিশানা করে তার দিকে গুলি করলে তার পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর খুবাইবের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে ছিল যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইবরাহিমিয়া ইসহাকিয়া কাজলারপাড় মাদরাসার ছাত্র।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে শহীদ হওয়া মাদরাসা ছাত্রদের সংখ্যা এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তকৃত শহীদদের মধ্যে আরও ছিলেন ময়মনসিংহের আবদুন নূর আশিক, নারায়ণগঞ্জের মাওলানা মাবরুর হোসাইন রাব্বি, যাত্রাবাড়ী বড় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সুলাইমান হাসান৷ [৮]
এমন আরেকজন শহীদ, কুরআন মাজীদের ১৫ পারা অন্তরে ধারণ করা মাদরাসা ছাত্র অন্তর। কাউকে না বলে ৫ আগস্ট সে-ও চলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার সামনে। পুলিশের গুলাগুলি শুরু হলে প্রাণভয়ে সে ফ্লাইওভারের পেছনে লুকায়। পুলিশ তাকে প্রথমে পায়ে গুলি করে, পরবর্তীতে তাকে সামনে থেকে বুকে গুলি করলে তা পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সাথে সাথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অন্তর।[৯]
শহীদ অন্তর
এমন শত শত শহীদের গল্প রচনার পরে বিকালের দিকে থানা ছেড়ে পালিয়ে যায় পুলিশ। থানায় আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এভাবেই জুলাই আন্দোলনে স্টালিনগ্রাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় যাত্রাবাড়ী রণক্ষেত্র। শুধু যাত্রাবাড়ীতেই নয়, সারা দেশজুড়ে লাখ লাখ মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষক নেমে এসেছিল রাস্তায়। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের অধিক শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে হাজারেরও বেশি।[১০] যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের রক্তের মাধ্যমে গড়ে তোলা অপ্রতিরোধ্য দেয়াল ছিল আওয়ামী জাহিলিয়াতের পতনের ভিত্তিপ্রস্তর।
অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় তাদের এই ত্যাগ ও অবদানের কথা ভুলে গিয়েছে সরকার। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে অকাতরে। কিন্তু আজ তাদের কথা ক্ষমতাসীনরা ভেবেও দেখে না। ধার্মিক মুসলিমদের কেন্দ্র করে আবারও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে হাসিনার জঙ্গি নাটক। কিন্তু আমরা দুআ ও প্রত্যাশা করি- আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন।
রেফারেন্স:
[১] দৈনিক ইনকিলাব, (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫), যাত্রাবাড়ী গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ফরিদ উদ্দিন এখনো অধরা. https://tinyurl.com/4kr7mada
[২] SOMOY TV, (১৫ জুলাই, ২০২৫), ছাত্র আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা | Madrasa Student Protest | July Revolution [Video]. YouTube. https://tinyurl.com/4mmr99m8
[৩] প্রাগুক্ত।
[৪] Reliable Tales. (২৭ নভেম্বর, ২০২৪), উৎসর্গ পর্ব ৮। মাদ্রাসায় না বলে আন্দোলনে গিয়ে শহীদ আব্দুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জুলাই ২০২৪, YouTube. https://tinyurl.com/y3zjjb4y
[৫] নবীন নিউজ ডেস্ক, (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪), জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব কৌশল নিয়েছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা. https://tinyurl.com/48cwaev7
[৬] Jamuna TV, (১৪ জানুয়ারি, ২০২৫), ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়িতে কী ঘটেছিলো? | 5 August in Jatrabari | Student Protest | Jamuna TV. YouTube. https://tinyurl.com/5df8pvv2
[৭] Prothom Alo, (১৪ জানুয়ারি, ২০২৫) ৫ আগস্ট, যাত্রাবাড়ী: ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র | Jatrabari. YouTube. https://tinyurl.com/bd8pfe7b
[৮] Madrasa Students Martyrs list by CSS Foundation. https://tinyurl.com/45uzwu3p
[৯] Reliable Tales, (২৫ অক্টোবর, ২০২৪), উৎসর্গ পর্ব ৪ । স্ট্যালিনগ্রাদের অন্তর এর জীবন উৎসর্গের গল্প। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জুলাই ২০২৪, YouTube, https://tinyurl.com/2urutv35
[১০] BDCN24, (১১ জুলাই, ২০২৫), উত্তাল জুলাই আন্দোলনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অসাধারণ ভূমিকা, https://tinyurl.com/buzthpny